ঢাকা বিকাল ৪:৩৭, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৩, ২২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০
শিরোনাম:
মাধবপুরের প্রচার বিমুখ শতবর্ষী মরমি শিল্পী ফকির আসকর আলী লাখাইয়ের সিরাজুম মনিরা সিনহা, বৃত্তি পেয়েছে। মাধবপুরে কৃষি, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য উদ্যোক্তারা পেল কৃষি যন্ত্রপাতি বাপা হবিগঞ্জের উদ্যোগে শায়েস্তাগন্জে পরিবেশ ও বজ্রপাত রক্ষায় তালের চারা রোপন। লাখাইয়ে বন্য প্রাণী রক্ষায় বন বিভাগের অভিযান। বিজয় নগরে ৪টি গ্রামে শারদীয় দুর্গাপূজা পালিত লাখাইয়ে ফিলিস্তিনীদের উপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত। লাখাইয়ে নানা আয়োজনে শেখ রাসেল দিবস উদযাপিত। লাখাইয়ে শায়েস্তাগঞ্জের বানীর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন। হৃদয়ের আয়নায় আতাউর রহমান ইমরান মাধবপুরে দুর্গাপূজায় প্রধানমন্ত্রীর অনুদান বিতরণ করলেন : প্রতিমন্ত্রী লাখাইয়ে সকল পূজা কমিটির সাথে নিরাপত্তা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। লাখাইয়ে মাদকদ্রব্যসহ ২ জন আটক। লাখাইয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে অর্থদন্ড। মাধবপুর মডেল প্রেসক্লাব পরিদর্শনে গেলেন বিমান প্রতিমন্ত্রী মাধবপুরে বজ্রপাতে একই পরিবারের ২ জনের মৃত্যু প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে গাজীপুর শিল্পকলার বর্ণাঢ্য আয়োজন মাধবপুরে সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত লাখাইয়ে বাপার উদ্যোগে তালের চারা রোপন অভিযান। মাধবপুরে রাখাল বাবুল হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন মাধবপুরে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ওসির মতবিনিময় মাধবপুরে লিগ্যাল এইড কমিটির উদ্বুদ্ধকরণ বিষযক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মাধবপুরে মাদকবিরোধী অভিযান মাধবপুরে মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক দেবী চন্দ মাধবপুরে নানা আয়োজনে ১৫ ই আগস্ট পালিত নিখোঁজের ১৫ পরেও মেলেনি কুরআনের হাফেজ মেহেদী কে। জয়পুরহাটে কালাইয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর ৯৩ তম জন্মবার্ষিকী পালিত মাধবপুরে এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা মাধবপুরে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালের পুরস্কার বিতরণ সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ বি-নির্মাণে কাজ করছে : প্রতিমন্ত্রী জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদন্ডাদেশ আদেশ দিয়েছেন আদালত

ছাতিয়াইন বিশ্বনাথ স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাকালে গরমিল

চ্যানেল ১০০ ডেস্ক। আপডেটঃ শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ৮:৪০ পিএম 53 বার পড়া হয়েছে

মাসুদ লস্কর : সিনিয়র সাংবাদিক

ছাতিয়াইন বিশ্বনাথ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ। শতবর্ষ পুরাতন একটি বিদ্যাপীঠ। স্কুলে ঢুকতে মুল ফটকে লেখা স্থাপিত ১৯২১ ইংরেজি। প্রতিষ্ঠাতা স্বর্গীয় বিশ্বনাথ পালের ছেলে সুরেন্দ্র চন্দ্র পাল।

 

প্রধান শিক্ষকের রুমে ঢুকতেই নজর পড়ল প্রধান শিক্ষকদের তালিকা লেখা বোর্ডে, নিজের চোখ কে বিশ্বাস করতে পারছি না। প্রতিষ্ঠা কাল ১৯১৮ ইংরেজি। প্রধান শিক্ষক বিকাশ ভট্রাচার্য (১৯১৮-১৯২২),জানার আগ্রহ থেকে এদিক সেদিক কিছু একটা খুজতে থাকি। হঠাৎ চোখে পড়ল শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে প্রকাশিত ম্যাগাজিন। প্রধান শিক্ষকের লেখা প্রবন্ধ টি পড়ে রীতিমতো চমকে উঠি। প্রতিষ্ঠা কাল ১৯১৮ ইংরেজি। ৮ জন ছাত্র নিয়ে স্কুলের যাত্রা।শুরুতে স্কুলটির নাম ছিল ছাতিয়াইন M.E SCHOOL যা ১৯২৮ ইং প্রায় (১০)দশ বছর  পর্যন্ত বলবত ছিল।

 

কিন্তু বিদ্যালয়ের স্বীকৃতির  শর্ত পুরন করতে ছাতিয়াইন গ্রামের চন্দ পরিবারের কৃতি সন্তান কামিনী কুমার চন্দ এবং মানিকগঞ্জ জেলার বাসিন্দা বাবু যদু নাথ গুহের যৌথ প্রচেষ্টায় জমিদার সিদ্দেশ্বরী প্রসাদ রায় চৌধুরী ১৯২৬ ইংরেজি সনে ছাতিয়াইন H,E school এর নামে প্রায় ১৩ কানি পরিমাণ জমি ২২ শে ফেব্রুয়ারী ১৯২৭ ইংরেজি দানকৃত সাফকাবলা করে দেন। ফলে ১ জানুয়ারি ১৯২৯ ইং স্কুলটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বীকৃতি পায়। তখনই স্কুলের নামকরণ হয় ছাতিয়াইন বিশ্বনাথ H.E school. প্রশ্ন হল এখানে সিদ্ধেশ্বরী না হয়ে বিশ্বনাথ কেন হল?

 

এ প্রশ্নের জবাবে এলাকার একাধিক প্রবীন ব্যাক্তির সাথে কথা হয়। জানা যায় বিশ্বনাথ পালের ছেলে সুরেন্দ্র চন্দ্র পাল স্কুলের ভবন নির্মাণ ও অন্যান্য আনুসাঙ্গিক আসবাবপত্র ক্রয়ে  আর্থিক অনুদান দেন। এবং সুরেন্দ্র চন্দ্র পাল তখন কলকাতায় অবস্থান করার কারনে স্কুলের অনুমোদন নিতে সহযোগিতা  করেন। এই সুবাদে তিনি স্কুলের নাম ছাতিয়াইন H.E School কে তার পিতার নাম অন্তর্ভুক্ত করে ছাতিয়াইন বিশ্বনাথ H.E School করতে অগ্রনী ভুমিকা পালন করেন। জানা যায় পঞ্চাশ দশকের পূর্বেই   স্কুলের নামকরণ করা হয় ছাতিয়াইন বিশ্বনাথ হাইস্কুল নামে। এখানে সিদ্ধেশ্বরী প্রসাদ রায় এর প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার টুকু ও করতে দেখা যায় নি। একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে এলাকার একাধিক শিক্ষানুরাগীর অক্লান্ত পরিশ্রম প্রয়োজন। ছাতিয়াইন বিশ্বনাথ হাইস্কুল এন্ড কলেজ ও এর ব্যাতিক্রম নয়। সকলের অবদানকে স্বীকার করা উচিৎ। হয়তো সবার নামে স্কুলের নামকরণ সম্ভব নয়। তবে যাদের  অক্লান্ত পরিশ্রমে স্কুল আজ কলেজে পরিনত তাদের নামে অন্তত ভবন নির্মাণ করে হলেও কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা যেত। তাই বলে কি জমিদার সিদ্ধেশ্বরী প্রসাদ রায়ের স্মৃতিটুকু পর্যন্ত মুচে দিয়ে? সভ্য সমাজে এসব কি হচ্ছে?  ভাবতে ও লজ্জা লাগে।দায়শোধের সুযোগ কি নেই।  কেন এ স্থাপনার নাম ছাতিয়াইন সিদ্ধেশ্বরী স্কুল ও কলেজ নামে নয়!

 

জন্মসাল এবং জমিদাতার প্রতি নুন্যতম শ্রদ্ধা জানিয়ে আগামী প্রজন্মের কাছে সত্য বচন তুলে ধরার এ প্রজন্মের দাবি।  এতে দোষের কিছু নেই।  সিদ্ধেশ্বরী রায় প্রসাদ চৌধুরী, এবং ১৯১৮ কে স্বীকৃতির মাঝেই  স্বার্থকতা নিহিত বলে বিজ্ঞ জনদের অভিমত।

মন্তব্য

আপলোডকারীর তথ্য

Channel 100 Admin

আপলোডকারীর সব সংবাদ