মোঃ মোকাররম হোসাইন
জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি
ঝলক জাতের করলা চাষে স্বপ্ন দেখছে জয়পুরহাটের কৃষক মাহবুব।
জয়পুরহাটের সদর উপজেলার ধলাহারের রামকৃষ্ণপুর এলাকার কৃষক মাহবুব এবার ৩৩ শতাংশ জমিতে করলা চাষ করেছেন। স্বল্প সময়ে খাদ্য গুণাগুন সমৃদ্ধ উচ্চ ফলন শীল ’ঝলক’ জাতের করলা চাষ করে সফলতার শীর্ষে এখন কৃষক মাহবুব।
২৭ আগস্ট করলার বীজ বপন করলেও নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে প্রতিটি চারায় করলা ধরতে শুরু করে। স্থানীয় বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা ” জাকস ফাউন্ডেশনের” সমন্বিত কৃষি ইউনিটের পরিবেশ বান্ধব মালচিং পেপার ব্যবহার প্রদর্শনীর আওতায় ওই করলা চাষ করছেন কৃষক মাহবুব আলম।
প্রথমে একবিঘা জমিতে খরচ হয় ২৬ হাজার ৭০০ টাকা। প্রথম দিনেই ৮ হাজার ১৯০ টাকার ৪ মণ ২২ কেজি করলা বিক্রি করেছেন বলে জানান, মাহবুব আলম। এ পর্যন্ত ৩০ হাজার টাকার করলা বিক্রি করলেও জমিতে করলা আরো ও এক লাখ ২০ হাজার টাকা করলা বিক্রি হবে এমন আশা করেন কৃষক মাহবুব।
ঝলক জাতের করলা বাজারে চাহিদা অনেক বেশি। এবং খেতে খুবই শাদ। ’ঝলক’ জাতের করলা বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। সাধারণ ভাবে করলা চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়না। সে কারণে জাকস ফাউন্ডেশনের কৃষি ইউনিটের পরামর্শ ও সহায়তায় পরিবেশ বান্ধব মালর্চি পেপার ব্যবহার করে করলা চাষ করলে দ্বিগুণ ফলন পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান, কৃষক মাহবুব আলম। পরিবেশ বান্ধব মালচিং পেপার ব্যবহারে গাছ অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও অতি বৃষ্টি থেকে রক্ষা পায়।
এ ছাড়াও সারের অপচয় রোধ , আগাছা দমন, মাটির আদ্রতা নিয়ন্ত্রণ, পানির ধারন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ফলে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পায় বলে জানান, জাকস ফাউন্ডেশনের কৃষি কর্মকর্তা শাহাদৎ হোসেন শাহিন। বিষমুক্ত ও পরিবেশ বান্ধব সবজি চাষে কৃষকদের পরামর্শ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে বলে জানান,।
জাকস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মো: নূরুল আমিন। পরিবেশ বান্ধব ও ফলন বেশি হওয়ায় মালচিং পেপার ব্যবহার করে করলা চাষ দিনি দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে জয়পুরহাটে বলে জানান, জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত উপ পরিচালক কৃষিবিদ আব্দুল করিম।
জয়পুরহাট জেলায় ২০২২-২৩ মৌসুমে ১০৫ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের করলা চাষ হয়েছে বলেও জানান তিনি। এরমধ্যে রয়েছে জয়পুরহাট সদরে ২৫ হেক্টর, পাঁচবিবিতে ৪৫ হেক্টর, কালাই ১৫ হেক্টর ও আক্কেলপুর উপজেলায় ২০ হেক্টর। বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় করলা চাষিরা এবার খুশি বলে জানান, কৃষিবিদ আব্দুল করিম।
মন্তব্য