বিগত ১৩-০৯-২০২২ তারিখ দৈনিক কালবেলার হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা প্রতিনিধি জনাব মুজাহিদ মসি মাধবপুর উপজেলার উপ-সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির কে তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ অনুযায়ী নির্দিষ্ট ফরমে তথ্য প্রাপ্তির আবেদন করেন।আবেদনকারী মুজাহিদ মসি ২০১৫ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ওই জনস্বাস্থ্য অফিসের মাধ্যমে ঐ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত শৌচাগার ও গভীর নলকূপসমূহের অবস্থান ও সংখ্যার তথ্য জানতে চেয়েছিলেন।
তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এর বিধি অনুসারে কর্মকর্তা কোন তথ্য দিতে অসমর্থ হলে তাহা আবেদনকারীকে তথ্য অপারগতার নোটিশের মাধ্যমে অবগত করতে হয়। আইনের এই ধারা উপ-সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির অমান্য করছেন বলে জানা গেছে।
গত ২২ নভেম্বর ২০২২ আবেদনকারী জনস্বাস্থ্যের অফিসে তথ্যপ্রাপ্তির খোজ নিতে গেলে তিনি ফোনে মাধবপুরের উপজেলা চেয়ারম্যানের ও উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতির সাথে এ বিষয়ে আলাপ করতে দেখা যায়। তিনি বলেন,এভাবে তথ্য দেয়া যাবে না।আবেদনে প্রকল্পের নাম উল্লেখ করা হয় নি তাই তথ্য দেয়া যাবে না।
এ সময় তিনি আবেদনকারীকে বিভিন্নভাবে হেনস্থা করার চেষ্টা করেন।তিনি বলেন এগুলো ব্ল্যাকমেইল করার জন্য ধান্দা হলুদ সাংবাদিকতা।
তিনি আরো বলেন,তিনি প্রেসক্লাবে আবেদনের একটি কপি একটি পাঠাবেন। এ সময় অফিসের আরেকজন কর্মচারী উপজেলার আর কয়টি অফিসে তথ্য প্রাপ্তির আবেদন করা হয়েছে তা-ও জানতে চান।হবিগঞ্জ জেলা নির্বাহী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী তাহমিনা তানভীনকে বিষয়টি অবহিত হলে তিনি বিষয়টি নিয়ে অফিসে এসে অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দেন।
আবেদনকারী সাংবাদিক মুজাহিদ মসি জানান,আইন অনুসারে ৩০ দিনের ভিতরে তথ্য দেওয়ার বিধান। না পারলে তথ্য অপারগতার নোটিশ দিতে হয়।তিনি এই নিয়ম মানেননি।আমি বিধি মোতাবেক জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে আপিল আবেদন দিয়েছি।তিনি বিচার করবেন আমার আবেদন যৌক্তিক কিনা। অন্যথায় তথ্য কমিশনের চূড়ান্ত শুনানির অপেক্ষায় থাকবো। জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী বলেছেন আমার আবেদনের একসেট ফটোকপি মাধবপুর প্রেসক্লাবে দেবেন।তিনি আমাকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সাংবাদিকতা নিয়ে নেগেটিভ ইঙ্গিতপূর্ণ কথা-বার্তার মাধ্যমে তিনি সরকারি কর্মচারী আচরণবিধি লংঘন করেছেন।অপমান করেছেন সাংবাদিকতাকে ও সংসদের আইনকে।।
মন্তব্য