বিশ্বজিৎ পাল: স্টাফ রিপোর্টার
মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের আমবাড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুল আলীর পুত্র বেসরকারী বীমা কোম্পানির কর্মকর্তা আব্দুল বাছির ও তার সহযোগী শিয়ালউরি গ্রামের মৃত মমতাজউদ্দিন এর পুত্র শমশের আলীর বিরুদ্ধে নৌসদস্য পরিবারের জমি দখল ও মিথ্যা মামলার হুমকি দুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে,দখলকৃত ভূমি অবস্থা উপজেলার ধর্মঘর ইউপির আমবাড়িয়া মৌজার বিএস ৪২৩ দাগ ও দূর্গাপুর মৌজার ১৩৭ দাগের মধ্যে।
।ভুক্তভোগীরা হলেন একই ইউনিয়নের আমবাড়িয়া গ্রামের মৃত মুসলিম মিয়ার পুত্র বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্য মামুন মিয়া, নৌসদস্য মনির হোসেন এবং বাংলাদেশ আনসার বাহিনীর সদস্য গাজীউর রহমান সহ তাদের তাদের মাতা রাবেয়া খাতুন।
তাদের মাতা রাবেয়া খাতুন বলেন,আমার তিন ছেলে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কর্মরত এক ছেলে বাংলাদেশ আনসার বাহিনীতে। এরা আমাদের জমি জোর করে দখল করে রেখেছে। আমরা প্রতিবাদ করলে তারা আমার ছেলেদের মামলা ডিফেন্সের চাকরি ক্ষতি করবে।এছাড়া আমার নামে নাকি তারা দুইটা জিডি করে রেখেছে থানায়।আমরা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি ১ মাস হয়ে গেল কোন ফয়সালা পাচ্ছি না।
আব্দুল বাছিরের কাছ থেকে জমি কিনে স্থানীয় বাসিন্দা সহিদ মিয়া,মোখলেসুর রহমান, হুমায়ুন মিয়া,সামসু মিয়া এবং বাচ্চু মিয়া প্রতারিত হয়েছেন বলেও জানা গেছে। জমি অবৈধভাবে রেকর্ড করে দিলেও রেজিস্ট্রি করে দেয় নি বাছির।এদের মধ্যে মোখলেসুর রহমান জানায়,বাছির মিয়া আমাদের সাথেও প্রতারনা করেছে।তার কাছ থেকে আমরা জমি কিনেছি টাকা দিয়েছি কিন্তু আজ অবধি সে জমি রেজিস্ট্রি করে দিচ্ছে না।আমরা অনেক জায়গায় বিচারের জন্যে ঘুরেছি কিন্তু বিচার পাই নি।বর্তমানে লোকজন দিয়ে আমাকে হয়রানি করছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোখলেসুর রহমান জানান,ইউনিয়নে ঐ নৌপরিবারে পক্ষে তাদের তা মা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।চেয়ারম্যান বিবাদীদের নোটিশ করেছেন।দ্রুতই এর সুরাহা হবে।
এ বিষয়ে বাছির মিয়া সাথে যোগাযোগ হলে তিনি জানান,তিনি কোন জমি দখল করেন তিনি তার জমিতেই আছেন।প্রয়োজনে তিনি আবারো মাপজোক করতে রাজি আছেন।তিনি কারো সাথে প্রতারণা করেন নি। তিনি সবাইকে সুবিধা দিয়ে গেছেন।
ধর্মঘর ইউপির চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ বলেন,আমরা জমি দখলের বিষয়টি গুরত্বের সাথে দেখব।প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে বিবাদীদের নোটিশ করা হয়েছে। তারা সময় নিয়েছে।তবে হুমকি দমকির বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ।
মন্তব্য