হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউপির কমলপুর সীমান্ত এলাকায় বাস করেন প্রচার বিমুখ শিল্পী ফকির আসকর আলী। ৯৫ বছর বয়স্ক এই শিল্পির গান পালার প্রতি এতই টান যে শৈশবে বিদ্যালয়ে পড়ালেখাও মনোযোগ দিয়ে পারেন নি।তার পিতা মৃত আব্দুল আলী তাকে কখনো তার পথে বাধা হয় নি।স্থানীয় গানের ওস্তাদ সুলতান মিয়াকে নিযুক্ত করে তাকে দেখভালের জন্যে।
সংগীত কাছে নিছক বিনোদন নয়।তারা সুফি তরিকার আধ্যাত্মিক ও মরমি গান চর্চা করে সেই সাথে আধ্যাত্মিক গুরুমুখী বিদ্যায় তারা চলতে ও মানতেও সাচ্ছন্দ বোধ করে।তার দলে আরো কিছু গ্রামীন গায়ক রয়েছে।সপ্তাহে এক দিন তাদের দেহতত্ত্বের আসর হয়।সেখানে তারা ভক্তি-বিচ্ছেদ গানে সুরে হারিয়ে যান।
এই শিল্পি এলাকার নানা অন্যায়-অনিয়মের প্রতিবাদে বসে থাকেন না।তিনি অনিয়ম অন্যায়ের প্রতিবাদ করে থাকেন।যা নানা গনমাধ্যমে এসেছে।
শিল্পী ফকির আসকর আলী বলেনঃ
বয়স হয়ে গেছে আগের মত গলায় ধার নেই। আমার জীবনে কোন চাওয়া পাওয়া নাই।আমি সুখী মানুষ। বাকী জীবন বাড়ির মাজারের খেদমত করেই কাটিয়ে দিতে চাই।
তার স্ত্রী আসিয়া খাতুন বলেনঃ আমি ভাগ্যবান নারী সে আমার স্বামী আমাকে ভাল লাগোক না লাগোক,আমাকে উঠতে বসতে গান শুনান।আমার টিভি-রেডিও লাগে না।স্বামী আমার খুব ভাববাদী মানুষ।আমাদের নাতি-পতি নিয়ে আমরা পরিতৃপ্ত জীবন অতিবাহিত করছি।
লিখন ও সহযোগিতা-
আব্দুল্লাহ আল মামুন
সাধারন সম্পাদক
জয় পরিষদ,মাধবপুর উপজেলা শাখা,হবিগঞ্জ